রিয়াদ হাসান: বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া শারীরিক নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা শেষে চিকিৎসকের ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।

শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসা ফিরোজার উদ্দেশে রওয়ানা হন তিনি। সন্ধ্যা ৭টা ৫০মিনিটে বাসায় পৌছান। এ তথ্য জানান বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শাইরুল কবির খান।

এদিকে বেগম খালেদা জিয়া বাসায় ফেরার আগে গুলশানে এসে পৌঁছান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, আমান উল্লাহ আমান, সাবেক এমপি রেহানা আক্তার রানু, নিলোফার চৌধুরী মনি, শিরিন সুলতানাসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

হাসপাতাল থেকে ফেরার সময়ও রাস্তায় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর ভীড় দেখা যায়। এদিকে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তাকে কেন্দ্র করে বাসভবনের সামনের সড়কের দুই পাশে ব্যারিকেড দিয়ে রাখে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

এর আগে, খালেদা জিয়া ১২ জুন দিবাগত মধ্যরাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত দেড়টার দিকে হাসপাতালে পৌঁছানোর পর কিছু পরীক্ষা শেষে তাকে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।

গত ২৯ এপ্রিল নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। ওই সময়ে পাঁচ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর তিনি মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে বাসায় ফেরেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি জটিলতা ও লিভারের রোগে ভুগছেন।

প্রসঙ্গত, দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান বিএনপি চেয়ারপারসন। করোনা মহামারি শুরুর পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ শর্তসাপেক্ষে বিএনপি প্রধানকে সাময়ীক মুক্তি দেয় সরকার। এর পর থেকে তার দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ ছয় মাস করে বাড়ানো হচ্ছে। কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়ার পর বেসরকারি এই হাসপাতালেই চিকিৎসা নিয়ে আসছেন বেগম জিয়া। সম্পাদনা: এল আর বাদল